January 7, 2025
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ডিসে ৩১, ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিউল ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট এ পরোয়ানা অনুমোদন করে। সামরিক আইন জারি করে ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে অভিশংসিত ও বরখাস্ত করা হয়।

সামরিক আইন ও অভিশংসন

গত ৩ ডিসেম্বর, ইউন সুক ইওল আকস্মিকভাবে দেশব্যাপী সামরিক আইন জারি করেন। উত্তর কোরিয়াপন্থি রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি নির্মূল ও সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে এই পদক্ষেপ নিলেও, বিরোধীদের তীব্র আপত্তি ও সংসদে ভোটাভুটির পর মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে তিনি সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন।

এরপর, ইউনকে অভিশংসিত করে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলমান থাকায় আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি তদন্ত সংস্থা সিআইও জানায়, সামরিক আইন জারির প্রেক্ষাপটে তদন্তকারীদের অনুরোধে ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোনও বর্তমান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটাই প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

পরোয়ানা কার্যকর ও সম্ভাব্য পরিণতি

  • পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
  • প্রয়োগ করা হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হতে পারে।
  • আদালত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

প্রেক্ষাপট

সামরিক আইন ঘোষণার পর ইউন সুক ইওলের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক তৈরি করে। তার এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্রবিরোধী আখ্যা দিয়ে সংসদ দ্রুত তাকে অভিশংসিত করে।

ইউন সুক ইওলের সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত এবং তার পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

Leave a Reply