এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটি গাড়িতে বাসের ধাক্কায় ৬ জন নিহত: চালক আটক
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি যানবাহনে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় বেপারী পরিবহনের বাসচালক মোহাম্মদ নূরুদ্দিনকে আটক করেছে র্যাব। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
আটকের বিবরণ:
র্যাব-১০–এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) তাপস কর্মকার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর চালক নূরুদ্দিন পালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে লুকিয়ে ছিলেন। অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয় এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন, মামলা হলে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
ঘটনার বিবরণ:
গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সেতুর টোল পরিশোধের জন্য মাওয়ামুখী একটি মাইক্রোবাস, একটি প্রাইভেট কার এবং একটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বেপারী পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে তিনটি যানবাহনে সজোরে ধাক্কা দেয়।
নিহত ও আহত ব্যক্তিরা:
দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য।
নিহতরা হলেন:
- আমেনা আক্তার (৪০) – মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও প্রাইভেট কারের মালিক নূর আলমের স্ত্রী।
- ইসরাত জাহান (২৪) – আমেনা আক্তারের বড় মেয়ে।
- রিহা মনি (১১) – আমেনা আক্তারের ছোট মেয়ে।
- আইয়াজ হোসেন (২) – ইসরাত জাহানের ছেলে।
- রেশমা আক্তার (২৬) – মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী।
- মো. আবদুল্লাহ (৭) – রেশমার ছেলে।
আহতরা:
এই দুর্ঘটনায় আরও চারজন আহত হন।
দুর্ঘটনার কারণ ও পরিণতি:
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ জানিয়েছেন, বেপারী পরিবহনের বাসটি অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়া চালনার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়। এতে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
র্যাব ও পুলিশ তদন্ত চালিয়ে দুর্ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।