সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীর বক্তব্য: চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হবে সত্যের চিত্র
শেখ হাসিনা ও বিভাজনের নীতি
শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত ‘১৭তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে’ বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সেখানে তিনি বিগত সময়ের সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা করেন। ফারুকী বলেন,
“শেখ হাসিনা সবাইকে পাশাপাশি কাজ করতে দেননি। সব খাতে বিভাজনের নীতি চালু রেখেছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে কথা বলেছে, তাকেই দেশছাড়া বা গুম করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, দেশে ঘটে যাওয়া এই বাস্তবতা তুলে ধরতে তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন।
কলকাতার আধিপত্য ভাঙার আহ্বান
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে কলকাতার আধিপত্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ফারুকী বলেন,
“দেশের সংস্কৃতি থেকে কলকাতার প্রভাব ভাঙতে হবে। আমাদের নিজস্ব সত্তাকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার প্রাপ্তি
‘১৭তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসবে’ তিনটি চলচ্চিত্র পুরস্কৃত হয়েছে:
- ফিলিস্তিনি পরিচালক তারিকের ‘জু’।
- যুক্তরাষ্ট্রের শাকিব আসরারের ‘এলিস ওয়েলকাম’।
- বাংলাদেশি পরিচালক শক্তি বণিকের ‘অন্তঋণ’।
শুক্রবার আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অতিথিদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী ওয়াকিলুর রহমান এবং সিটি ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও কান্ট্রি বিজনেস ম্যানেজার আশানুর রহমান।
ওয়াকিলুর রহমান বলেন,
“সংস্কৃতিতে যুক্ত ব্যক্তিদের রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত। তবে সংস্কৃতিতে রাজনীতি প্রবেশ করানো উচিত নয়।”
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতার প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা উঠে এসেছে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সত্য প্রকাশের তাঁর উদ্যোগ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দেশের সংস্কৃতিকে নিজের শক্তিতে প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বানও সময়োপযোগী।