মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ড. মনমোহন সিং-এর মধ্যকার ব্যক্তিগত ও পেশাগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখানে স্পষ্ট। মনমোহন সিংয়ের প্রতি ইউনূসের শ্রদ্ধা এবং উষ্ণ স্মৃতিগুলো তাদের সম্পর্কের গভীরতাকে তুলে ধরেছে। ইউনূস মনমোহন সিংকে “নম্র ব্যক্তি, দূরদর্শী নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক” হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা তাদের পারস্পরিক সম্মানের প্রমাণ।ড. মনমোহন সিংয়ের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অবদান এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ইউনূস তার নেতৃত্বে ভারতের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করার ভূমিকা তুলে ধরেছেন। এটি মনমোহন সিংয়ের দক্ষিণ এশিয়ায় সহযোগিতার প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করে।
ড. ইউনূস মনমোহন সিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টিও এখানে জোর দেওয়া হয়েছে, যা মনমোহন সিংয়ের আঞ্চলিক কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
ড. ইউনূস ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তার বিভিন্ন মুহূর্তের কথা তুলে ধরেছেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জনের পর অভিনন্দন বার্তা এবং বিভিন্ন বৈঠকের উল্লেখ তার প্রতি ইউনূসের কৃতজ্ঞতাকে প্রকাশ করে।মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ইউনূস শুধু তার অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অবদান নয়, বরং তার মানবিক গুণাবলী এবং আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার চিন্তাধারার ওপর জোর দিয়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান তার এই দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন।
ড. মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের এই শোক বার্তা কেবল তার প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা নয়, বরং আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং মানবিক নেতৃত্বের মূল্যায়ন। এটি দুই নেতার মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও কৃতজ্ঞতার একটি উদাহরণ এবং একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় আরও শক্তিশালী সহযোগিতার জন্য একটি বার্তা।