ডুবে যাওয়া রুশ কার্গো জাহাজটি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ
ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার কার্গো জাহাজ উরসা মেজর ডুবে যাওয়ার ঘটনা
রাশিয়ার কার্গো জাহাজ উরসা মেজর গত সোমবার রাতে ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে। ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণের পর জাহাজটি ডুবে যায় বলে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে। বুধবার জাহাজটির মালিকপক্ষ দাবি করেছে, এটি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের শিকার। রুশ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ-র বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ঘটনার পটভূমি
- ২০০৯ সালে নির্মিত উরসা মেজর জাহাজটি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ বিভাগের কোম্পানি অবরোনলজিস্টিকা কর্তৃক পরিচালিত ছিল।
- জাহাজটি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে ভ্লাদিভোস্টক বন্দরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
- এটি দুটি বিশাল পোর্ট ক্রেন বহন করছিল।
- ১১ ডিসেম্বর সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে যাত্রা শুরুর পর সোমবার রাতে গ্রিনিচ মান সময় ২২:০৪-এ আলজেরিয়া ও স্পেনের মাঝামাঝি অবস্থান থেকে সর্বশেষ বার্তা পাঠায়। সেখানেই জাহাজটি ডুবে যায়।
উদ্ধার কার্যক্রম
- জাহাজে থাকা ১৬ জন নাবিকের মধ্যে ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের স্পেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
- এখনও দুজন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন।
- বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ
- জাহাজটির মালিক কোম্পানি অবরোনলজিস্টিকা দাবি করেছে, উরসা মেজরকে সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছিল।
- তবে বিস্ফোরণের সুনির্দিষ্ট কারণ কিংবা সন্ত্রাসী হামলার প্রমাণ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
প্রেক্ষাপট ও উদ্বেগ
- এই ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
- বিশেষ করে রাশিয়ার জাহাজের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দাবি নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত দেয়।
- জাহাজটি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকায় এটি আরও গুরুত্ব পেয়েছে।
উরসা মেজরের ডুবে যাওয়া একদিকে প্রযুক্তিগত ত্রুটি, অন্যদিকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রমাণ উন্মোচনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়ছে। নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধার ও বিস্ফোরণের সঠিক কারণ নির্ধারণে আরও তদন্ত প্রয়োজন।