December 22, 2024
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার ঝুঁকি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার ঝুঁকি নেই: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ডিসে ২১, ২০২৪

বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার কোনো ঝুঁকি নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দেশের তরুণরা ধর্মের বিষয়ে পক্ষপাতহীন এবং তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চান। ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট–এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বর্ষসেরা দেশ নির্বাচিত

২০২৪ সালে ইকোনমিস্টের বর্ষসেরা দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবং নতুন যাত্রার সূচনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইকোনমিস্টের বিদেশবিষয়ক সম্পাদক প্যাট্রিক ফোলিস এই বিষয়ে ড. ইউনূসের প্রতিক্রিয়া জানতে চান।

ড. ইউনূস বলেন, “আমরা আনন্দিত, অত্যন্ত গর্বিত। সত্যিকার অর্থেই আমরা বড় একটি পরিবর্তন ঘটিয়েছি। ছাত্রদের কারণেই অভ্যুত্থান ঘটেছে। তখন থেকেই আমরা বলছি, একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।”

ইসলামি চরমপন্থার ঝুঁকি প্রসঙ্গে মন্তব্য

প্যাট্রিক ফোলিসের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস জানান, “বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। দেশের তরুণ প্রজন্ম উদ্যমী এবং ধর্মের বিষয়ে নিরপেক্ষ। তারা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।”

তিনি সাম্প্রতিক গণ–অভ্যুত্থানের উদাহরণ টেনে বলেন, তরুণেরা কতটা শক্তিশালী, তা এই ঘটনাই প্রমাণ করে। বিশেষ করে তরুণীদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। “তারা অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে ছিলেন। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করা,” বলেন তিনি।

তরুণ নেতৃত্বের গুরুত্ব

ড. ইউনূস আরও বলেন, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিনজন তরুণকে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা অসাধারণ কাজ করছেন এবং বর্তমান শতাব্দীর প্রতিনিধিত্ব করছেন।

ড. ইউনূসের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বাংলাদেশের নির্বাচনের পর নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “জোর করে আমাকে এই দায়িত্বে আনা হয়েছে। আমি আমার আগের কাজ উপভোগ করছিলাম এবং সেটাই করতে চাই। নির্বাচনের পর আমি আমার স্বাভাবিক কাজে ফিরে যেতে চাই।”

ড. ইউনূসের বক্তব্যে উঠে এসেছে তরুণদের উদ্যম, অভ্যুত্থানে তাদের ভূমিকা এবং নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা। তিনি ইসলামি চরমপন্থা নিয়ে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে তরুণ নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। একইসঙ্গে, দায়িত্ব পালনের পর নিজের কাজ ও আগের জীবনযাত্রায় ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন।

Leave a Reply