৬ বছর পর উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
টেস্ট সিরিজ ড্র ও ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। এটি ৬ বছর পর ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর, শুক্রবার।
ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। লিটন দাস ১০ বলে মাত্র ৩ রান করে স্টাম্পিং হয়ে ফিরলে দলীয় ৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তানজিদ তামিম ৪ বলে ২ রান করে বোল্ড হন।
সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে ২৮ রানের জুটির পর সৌম্য ১৬ রান করে বিদায় নিলে আবারও বিপদে পড়ে দল। ২৫ বলে ২৬ রান করা মিরাজও দ্রুত ফিরে যান। এরপর রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, ও জাকের আলীর ব্যর্থতায় ১৫তম ওভারেই দলের রান দাঁড়ায় ৮৮/৭।
শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১৭ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দলকে ১২৯ রানে নিয়ে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে গুড়াকেশ মোতি ২৫ রানে ২ উইকেট নেন।
বোলিংয়ে টাইগারদের দাপট
১২৯ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন টাইগার বোলাররা। তাসকিন আহমেদ নিজের প্রথম ওভারে ব্রান্ডন কিং (৮) ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে (০) ফিরিয়ে ক্যারিবীয় শিবিরে ভীতি ছড়িয়ে দেন। শেখ মেহেদী জনসন চার্লসকে (১৫) এলবিডব্লিউ করেন এবং নিকোলাস পুরানকে (৫) ক্যাচে পরিণত করেন।
পাওয়ারপ্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে রোভম্যান পাওয়েল ও রোমারিও শেফার্ডকেও দ্রুত ফেরান তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন। শেষদিকে রোস্টন চেজ ৩৪ বলে ৩২ রান করে কিছুটা লড়াই করেন, তবে রিশাদ চেজ ও মোতিকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের প্রতিরোধ ভেঙে দেন।
শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮.৪ ওভারে ১০২ রানে গুটিয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন। তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদী হাসান নেন ২টি করে উইকেট।
দলের পারফরম্যান্স
বাংলাদেশের দলীয় পারফরম্যান্সে বোলাররা সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন। তাসকিন ও রিশাদের কার্যকর বোলিং, মেহেদী ও তানজিমের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট শিকার বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে।
একাদশ
বাংলাদেশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটকিপার), জাকের আলী, মেহেদী হাসান, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ব্রান্ডন কিং, জনসন চার্লস, নিকোলাস পুরান, রোস্টন চেজ, আন্দ্রে ফ্লেচার (উইকেটকিপার), রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), গুড়াকেশ মোতি, আকিল হোসেন, রোমারিও শেফার্ড, আলজারি জোসেফ ও ওবেদ ম্যাকয়।