যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে ৫ ফিলিস্তিনির মামলা
গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তা কমানোর দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পাঁচ ফিলিস্তিনি।
মামলার প্রেক্ষাপট
মামলাটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘লেহি আইন’–এর আওতায়। এই আইন অনুযায়ী, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত কোনো সামরিক ইউনিটকে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সহায়তা দিতে পারে না। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর ইচ্ছা করলেই এই আইন প্রয়োগ করতে পারত, কিন্তু তা করেনি।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘন নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং যুদ্ধাপরাধের মতো কর্মকাণ্ড।
বাদীদের বক্তব্য
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী পাঁচ ফিলিস্তিনি মামলাটি করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন গাজার বাসিন্দা ও পেশায় শিক্ষক আমাল গাজা। তিনি জানান, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি সাতবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ইসরায়েলি হামলায় তাঁর পরিবারের ২০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
আমাল গাজা বলেন, ‘আমার দুঃখ-কষ্ট ও আমার পরিবারের ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী সামরিক ইউনিটগুলোকে সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে।’
মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল অভূতপূর্ব বোমা বর্ষণ ও স্থল অভিযান পরিচালনা করছে। এতে এ পর্যন্ত ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘসহ বিশ্বের প্রধান মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান
মামলার বিষয়ে আল–জাজিরার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বিচারাধীন মামলার বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করে না।
সমাধানের দাবি
মামলাকারীরা আশা করছেন, এই মামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা নীতিতে পরিবর্তন আসবে এবং গাজার জনগণের ওপর চলমান নিপীড়নের অবসান ঘটবে।