December 22, 2024
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দাফনের চার মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দাফনের চার মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

ডিসে ১৭, ২০২৪

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় রাবেয়া সুলতানা মায়া (২৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ দাফনের চার মাস পর উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।

ঘটনার পটভূমি

  • রাবেয়া সুলতানা মায়া একই গ্রামের দিনমজুর আব্দুস সামাদের মেয়ে। তাঁর দুই সন্তান রয়েছে।
  • গত ১০ আগস্ট উপজেলার সোনাখালী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে রাবেয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এ সময় তাঁর স্বামী রাশিদুল পালিয়ে যান।
  • পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে কাউকে না পেয়ে মেয়ের লাশ বাবার বাড়িতে দাফন করেন।

মামলার প্রেক্ষাপট

  • ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাবেয়ার পরিবার অভিযোগ করে যে, তাঁকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
  • গত ১ সেপ্টেম্বর রাবেয়ার মা ফজিলা বেগম স্বামী রাশিদুল ও ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
  • গত ১২ সেপ্টেম্বর মামলাটি আদালত গ্রহণ করলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলনের অনুমতি চায়।
  • পরবর্তীতে ২৯ সেপ্টেম্বর আদালত লাশ উত্তোলনের অনুমতি দেয়।

পরিবারের দাবি

বাদী ফজিলা বেগম অভিযোগ করেন, তাঁর জামাতা মাদকাসক্ত এবং তিনি পিটিয়ে তাঁর মেয়েকে হত্যা করেন। পট পরিবর্তনের কারণে তখন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা উপায় না পেয়ে লাশ দাফন করেছিলেন। ঘটনার পর থেকে জামাতা রাশিদুল পলাতক আছেন বলে তিনি দাবি করেন।

লাশ উত্তোলন ও পরবর্তী ব্যবস্থা

  • লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
  • শ্যামনগর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • ইউএনও রনী খাতুন বলেন, আদালতের নির্দেশে যথাযথ আইন মেনেই লাশ উত্তোলন ও পরবর্তী প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হচ্ছে।

চার মাস আগে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এখন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Reply