December 22, 2024
২০২৫ সালের শেষ থেকে ২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করা যায়: প্রধান উপদেষ্টা

২০২৫ সালের শেষ থেকে ২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন করা যায়: প্রধান উপদেষ্টা

ডিসে ১৬, ২০২৪

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার সকালে দেওয়া এই ভাষণে তিনি জানান, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, “যদি ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে হালনাগাদ করা ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সামান্য সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়, তাহলে ২০২৫ সালের শেষ দিকেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে। তবে, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।”

ভোটার তালিকা হালনাগাদের গুরুত্ব
ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ করাই প্রথম ও প্রধান কাজ। গত তিনটি নির্বাচনে ভোটারদের যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়নি। গত ১৫ বছরে ভোটার হওয়ার যোগ্য যারা, তাদের সবার নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এবার কোনো গলদ রাখার সুযোগ নেই, কারণ বহু তরুণ-তরুণী এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। এই প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও স্মরণীয় করতে হবে।”

তরুণদের ভূমিকা ও ভোটার অংশগ্রহণ
তিনি উল্লেখ করেন, “তরুণদের ভোটদানের অভিজ্ঞতা স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। প্রথমবারের ভোটারদের ১০০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনসহ সকল সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলকে সৃজনশীল কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এমন ঐতিহ্য সৃষ্টি করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নেবার সাহস না করে।”

প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, “অতীতে প্রবাসীদের ভোটের ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এবার এটি বাস্তবায়নের জন্য নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন প্রক্রিয়া ও কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সময় দিতে হবে। সময় সাপেক্ষ হলেও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া জরুরি।”

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে সংস্কারের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে ড. ইউনূস দেশবাসীকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

Leave a Reply