মহান বিজয় দিবস: গৌরব, শোক, ও শ্রদ্ধার দিন
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে জাতি উদ্যাপন করছে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী। এক সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত এই বিজয় কেবল আনন্দের নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল।
আনন্দের সঙ্গে শোকের স্মরণ
বিজয়ের এই দিন একই সঙ্গে গভীর শোকেরও। মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য লাখো বীর সন্তান জীবন উৎসর্গ করেছেন। অসংখ্য মা-বোন তাঁদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন। জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আজকের দিনে জাতি কৃতজ্ঞ চিত্তে সেই আত্মত্যাগ স্মরণ করে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা স্মরণ করে জাতি তাদের ঋণ স্বীকার করে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন
রাজধানীসহ সারা দেশে আজকের দিনটি উদ্যাপন করা হবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাখো মানুষের ঢল নামবে। হাতে পতাকা ও ফুল নিয়ে সবাই শ্রদ্ধা জানাবে স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগকারী বীর সন্তানদের।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন,
“২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য বাস্তবায়ন ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন,
“বিজয় দিবস আমাদের কেবল গর্বের উৎস নয়, এটি শপথের দিন। আমাদের শপথ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার, একতাবদ্ধ থাকার, এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করার। দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
অঙ্গীকার ও প্রেরণা
আজকের এই দিনে জাতি বিজয়ের আনন্দ উদ্যাপন করার পাশাপাশি শপথ নেয় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার। মহান বিজয় দিবস আমাদের অনুপ্রেরণা দেয় বৈষম্যহীন, উন্নত, এবং সম্মানিত বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়ার।