ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানহানি মামলা নিষ্পত্তিতে এবিসি নিউজের দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা মানহানি মামলা দেড় কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিষ্পত্তি করতে সম্মত হয়েছে এবিসি নিউজ। মামলার কেন্দ্রে ছিলেন এবিসি নিউজের তারকা সঞ্চালক জর্জ স্টেফানোপোলোস, যিনি একটি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন।
মামলার পটভূমি
১০ মার্চ ২০২৪ সালে এবিসি নিউজের এক অনুষ্ঠানে জর্জ স্টেফানোপোলোস একাধিকবার দাবি করেছিলেন, “ট্রাম্প ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন”। এ মন্তব্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পূর্বের একটি দেওয়ানি মামলার ভুল ব্যাখ্যা ছিল।
২০২৩ সালে নিউইয়র্কের একটি আদালত সাংবাদিক ই. জিন ক্যারলের করা যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী না বলে, বরং যৌন নিপীড়নের জন্য দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে ট্রাম্পকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।
মামলার নিষ্পত্তি
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। গতকাল শনিবার উভয় পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। ফক্স নিউজ ডিজিটালের প্রতিবেদন অনুযায়ী সমঝোতার শর্তগুলো হলো:
- দেড় কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
- ট্রাম্পের আইনি খরচ হিসেবে এবিসি নিউজ আরও ১০ লাখ মার্কিন ডলার দেবে।
- এবিসি নিউজ আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেফানোপোলোসের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবে।
- এবিসি নিউজের অনলাইনে ১০ মার্চ প্রকাশিত খবরের নিচে একটি সংশোধনী নোট যোগ করতে হবে।
ক্যারলের অভিযোগের প্রেক্ষাপট
১৯৯৬ সালে সাংবাদিক ই. জিন ক্যারল অভিযোগ করেছিলেন, ট্রাম্প একটি পোশাকের দোকানে পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে তাঁর সঙ্গে জোরজবরদস্তি ও যৌন নিপীড়ন করেন।
২০২৩ সালে একটি নিউইয়র্ক আদালত এই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় এবং ক্যারলের সম্মানহানির অভিযোগে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে অভিযোগটি ছিল দেওয়ানি মামলার আওতায় এবং ধর্ষণের দায়ে দোষী হওয়ার বিষয়টি আদালত অস্বীকার করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানহানি মামলা নিষ্পত্তি হলেও এটি মার্কিন গণমাধ্যম ও আইনি কাঠামোর জন্য বড় শিক্ষা হয়ে থাকবে। ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৫ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন, আর এ ঘটনা তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় যোগ করেছে।