জনপ্রশাসনের সংস্কারে বিএনপির সুপারিশ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রশাসনের কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য সুপারিশমালা পেশ করেছে। রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের কাছে বিএনপির প্রতিনিধি দল এ সুপারিশ জমা দেয়।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।
সুপারিশের মূল বিষয়সমূহ
- প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠন:
- প্রশাসনিক কাঠামো ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
- জেলা প্রশাসকের ফিট লিস্ট প্রক্রিয়া সংশোধন এবং নতুন নিয়ম চালুর সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।
- নির্বাচন-পূর্ব প্রশাসনিক পরিবর্তন:
- প্রতিটি নির্বাচনের তিন মাস আগে প্রশাসনের সর্বস্তরে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব।
- এ পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
- সিন্ডিকেট রোধে বাধ্যতামূলক স্থানান্তর:
- দীর্ঘ সময় একই পদে থাকা কর্মকর্তাদের কারণে গঠিত সিন্ডিকেটের সমস্যা সমাধানে বাধ্যতামূলক স্থানান্তরের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব।
- ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা:
- পূর্ববর্তী সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ।
ইসমাইল জবিউল্লাহর বক্তব্য
ইসমাইল জবিউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “পুরো প্রশাসনিক কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে একই পদে থাকার কারণে কিছু কর্মকর্তা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন, যা প্রশাসনিক কার্যক্রমে সমস্যা সৃষ্টি করে। এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনে বাধ্যতামূলক স্থানান্তরের বিধান চালু করা জরুরি।তিনি আরও উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ প্রশাসন নিশ্চিত করতে অতীতের অনিয়মকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করা ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির এই সুপারিশমালা জনপ্রশাসনের কার্যকারিতা ও নিরপেক্ষতা বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠন এবং নির্বাচন-পূর্ব প্রশাসনিক পরিবর্তনের প্রস্তাবগুলো সুষ্ঠু প্রশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হতে পারে। এখন সরকারের দিক থেকে এ সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে বিএনপি।