কারও প্রতি নির্ভরশীল নয়, দেশীয় পণ্য কিনুন: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশীয় পণ্য ক্রয় এবং দেশীয় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা কারও প্রতি নির্ভরশীল হবো না—এই জাতীয়তাবাদী চিন্তা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।”
‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ শীর্ষক সমাবেশ
বুধবার ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের চৌরাস্তা মোড়ে আয়োজিত এ সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, বিএনপি নেতা ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, মোজাজ্জেদ আলী বাবু প্রমুখ। সমাবেশ শেষে দেশীয় শাড়ি ও লুঙ্গি ন্যূনতম মূল্যে বিক্রির আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনার ভারতের প্রতি নতজানু নীতি নিয়ে সমালোচনা
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রতি নতজানু নীতি অনুসরণ করছেন। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বিনা টাকায় যা ভারতকে দিয়েছেন, তা কোনো জাতীয়তাবাদী চিন্তার মানুষ দেবে না।”
- সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ভারতকে বিনা টেন্ডারে দেওয়া হয়েছে।
- তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন না হলেও প্রধানমন্ত্রী প্রতিবাদ করেননি।
- সীমান্তে হত্যাকাণ্ড এবং ভারতীয় আগ্রাসন নিয়েও কোনো পদক্ষেপ নেন না।
ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ভারতীয় অপপ্রচার
ভারতের মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষের যে সম্প্রীতি, তা কোনো অপপ্রচার করে নষ্ট করা যাবে না।” তিনি আরও বলেন, “ভারত থেকে চট্টগ্রাম দখলের মতো হুমকি দেওয়া হলে আমাদেরও ইতিহাস থেকে দাবি করার বিষয় রয়েছে।”
নিপুণ রায়ের বক্তব্য
অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, “ছাত্রজনতা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে। এটি কোনো দেশের দাসত্ব করার জন্য নয়।”
- দেশীয় পণ্য কিনলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
- ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে আত্মমর্যাদাপূর্ণ।
- দেশের কৃষক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় দেশীয় পণ্যের প্রচার বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
- ফ্যাসিবাদী শাসন আর কখনো এ দেশে জায়গা পাবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা দেশীয় পণ্যের প্রচারণা, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে সরকারের অবস্থান নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন তারা। নেতাকর্মীদের দেশীয় পণ্য কেনায় জনগণকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার নির্দেশনা দেন।