পুলিশের পোশাক দেখে এখনো ভীতির সৃষ্টি হয়: সারজিস আলম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, পুলিশের পোশাক দেখলে এখনো ভীতি এবং ঘৃণার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, এ জন্য যেমন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী, তেমনি পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিত্বও দায়ী।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের প্রাইমারি টিচার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শিরোনাম ছিল ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’। এতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
পুলিশের সমালোচনা
সারজিস আলম পুলিশের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা ক্ষমতার এবং পদের লোভে এই পোশাককে অপব্যবহার করে দেশের নানা অপকর্মে সহযোগিতা করেছেন। সেনাবাহিনী যদি চাইত, ৫ আগস্ট ১০ হাজার মানুষকে খুন করে হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখতে পারত। কিন্তু তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের সম্মান বজায় রেখেছে। অথচ পুলিশের কিছু সদস্য আজও খুনের পরেও দলীয় স্বার্থে কাজ করছেন এবং ঘুষ নিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে আর কোনো তোষামোদকারী বা দলকানার জায়গা থাকবে না। শহীদদের স্মৃতিকে কেন্দ্র করে মামলাবাজি ও দলের রাজনীতি হচ্ছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এসব বন্ধ দেখতে চাই।”
আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম
অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫২ শহীদ পরিবারের মধ্যে ১০৫ পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়। বাকি পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের পর চেক পৌঁছে দেওয়া হবে।
অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল কাদেরও বক্তব্য দেন।
এই আয়োজনের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাদের পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে অনুষ্ঠানে পুলিশের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্ন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের প্রতি নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।