বাংলাদেশের কৌশলগত এবং সামরিক অবস্থান শক্তিশালীকরণ: আঞ্চলিক হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুতি
বিশেষ প্রতিনিধি
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে, যা একটি সক্রিয় এবং শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দাবি করে। বিশেষ করে প্রতিবেশী ভারতকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কগুলি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, তাই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলগুলি পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা:
বাংলাদেশ এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবেই জটিল। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতের ইতিবাচক ভূমিকা ও বর্তমানে দুই দেশের মাঝে বাৎসরিক প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক এবং বহু পাক্ষিক সহযোগিতা থাকা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা এই সম্পর্ককে নানা বিধ কারনে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম প্রধান কারনগুলা হলো অনৈতিকভাবে বাংলাদেশে বিগত ১৫ বছর ধরে একটি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শাসন-ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকার কতৃক অত্যন্ত নগ্নভাবে সকল সহায়তা দিয়ে যাওয়া, দেশে তিনটি ভোটার বিহীন অবৈধ নির্বাচনকে ও হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ভারতের সন্দেহজনক ভূমিকা, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি কার্যকর না হওয়া ও আন্তর্জাতিক আইনকে পাশকাটিয়ে ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করা, ফারাক্কা বাঁধ সমস্যা, অব্যাহত সীমান্ত হত্যা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তাজনিত সমস্যা। এর সাথে যুক্ত হয়েছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা এবং ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা। দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি ও বিশ্বের পঁয়ত্রিশতম অর্থনীতির দেশ হিসেবে, ঢাকাকে তার নিজস্ব অর্থনৈতিক স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নয়াদিল্লির সাথে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ‘বন্ধুপ্রতিম’ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
অন্যদিকে ভারতের ও মিয়ানমারের সামরিক ও ভৌগোলিক অবস্থান, ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্য, উপরোক্ত দুটি দেশের পক্ষ থেকেই বিগত সময়ে বিভিন্ন সামরিক হুমকি এবং সাম্প্রতিককালে ভারত সহ মিয়ানমারেরও প্রতিরক্ষা ক্রয়ের উন্নয়ন বাংলাদেশের নিজস্ব প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তাকে প্রতিফলিত করে। যদিও শান্তিপূর্ণ কূটনীতি এবং সংলাপ অপরিহার্য, তবুও বাংলাদেশকে তাঁর সম্ভাব্য সমস্ত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে, যার মধ্যে প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা বাহ্যিক হুমকির সম্ভাবনাও অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা শক্তিশালীকরণ
বাংলাদেশের সামরিক আধুনিকায়ন প্রচেষ্টা আরও ত্বরান্বিত করতে হবে যাতে সম্ভাব্য হুমকির কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা যায়। বর্তমান বিপ্লবী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া প্রধান পদক্ষেপগুলি নিম্নরূপ হওয়া উচিত:
১. প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন
বাংলাদেশকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে হবে, যার মধ্যে সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ড্রোন প্রযুক্তি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উন্নত নৌ ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত। এই আধুনিকীকরণ নিশ্চিত করবে যে দেশটি তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে পারে, বিশেষত ভারত মহাসাগরে ভারতের ক্রমবর্ধমান নৌ উপস্থিতির মুখোমুখি।
তাছাড়া, সামরিক বাহিনীর জন্য বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি এবং পুনরুদ্ধার (ISR) ব্যবস্থায় আরও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন, যাতে সীমান্তে যে কোনও শত্রু ক্রিয়াকলাপ সনাক্ত এবং প্রতিরোধ করা যায়।
২. কৌশলগত সামরিক জোট গঠন
একজন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের ছাত্র হিসেবে বলবো, সম্ভাব্য ভারতীয় সামরিক হুমকির মুখে, বাংলাদেশকে তার কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রগুলোকে বৈচিত্র্যময় করতে হবে। চীন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক এর সাথে আরও দৃঢ় প্রতিরক্ষা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক কেবল বাংলাদেশের সামরিক প্রস্তুতিই শক্তিশালী করবে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও বৃদ্ধি করবে।
চীন: একটি বৈশ্বিক শক্তি এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে, চীন উন্নত সামরিক প্রযুক্তি, সরঞ্জাম এবং অর্থনৈতিক সাহায্য প্রদান করে। বাংলাদেশ-চীন প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করা নৌ যুদ্ধজাহাজ, চীনা সাবমেরিন প্রযুক্তি, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সহ অত্যাবশ্যক সামরিক সরঞ্জাম প্রদান করতে পারে।
পাকিস্তান: যদিও অতীতে বাংলাদেশের সাথে ঐতিহাসিক সম্পর্ক জটিল ছিল তা স্বত্বেও পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মিত্র, যার উন্নত সামরিক সক্ষমতা রয়েছে। মুসলিম বিশ্বে এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি পাকিস্তানই একমাত্র পারমাণবিক বোমা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র অতএব প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, যৌথ সামরিক মহড়া এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় স্পর্শকাতর গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ শক্ত ভাবে ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্যের মোকাবিলা করতে পারে।
তুরস্ক: তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সামরিক জোট “ন্যাটোর” একমাত্র মুসলিম সদস্য রাষ্ট্র। বর্তমান বিশ্বে তুরস্ক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্ম্পূর্ণ প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ড্রোন প্রযুক্তি এবং আধুনিক যুদ্ধ ক্ষেত্রে তুরস্কের দক্ষতা বাংলাদেশের সামরিক শক্তি উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে।
৩. পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গঠন
যদিও বাংলাদেশ পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে তার দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ NPT চুক্তির সদস্য। ১৯৭৯ সালে এটি চুক্তি অনুমোদন করেছে এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তবে জাতিসংঘের IAEA এর গাইড লাইন অনুযায়ী যদি কোনো দেশ অন্য একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের পারমাণবিক হামলার ভয়ে থাকে, তবে সেই দেশ পারমাণবিক সুরক্ষার জন্য অন্য যেকোন একটি দেশের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে পারে। এই ধরনের চুক্তি আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র না ছড়ানোর চুক্তি (NPT) এর অধীনে অবশ্যই বৈধ হতে হবে। এই চুক্তি কোনো অ-পরমাণু রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে দেয় না তবে এটি সেই দেশকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে বাঁধাও দেয় না এবং পারমাণবিক ছাতার (Nuclear Umbrella) আওতায় আসা দেশগুলো তাদের সুরক্ষার জন্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশের ওপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু দেশ পারমাণবিক ছাতা চুক্তি করে যেখানে একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ তাদের প্রতিরক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দেয়। পারমাণবিক ছাতার আওতায় আসা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্র সামরিক জোট ‘ন্যাটো’, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক ছাতার নিচে রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।
একটি বিশ্বাসযোগ্য নিউক্লিয়ার প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরির জন্য বাংলাদেশ চীন এবং পাকিস্তানের সাথে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক সহযোগিতা অনুসন্ধান করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত বিকল্পগুলি উন্মুক্ত রাখার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচির ভিত্তিও তৈরি করতে পারে। এছাড়াও, ভারত সহ মিয়ানমারের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে তাঁর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যপক উন্নয়ন সাধন করতে হবে।
অর্থনৈতিক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব শক্তিশালীকরণ
সামরিক শক্তি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কৌশলকে অবশ্যই দৃঢ় অর্থনৈতিক কূটনীতি এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সমর্থন করতে হবে:
১. চীনের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করা
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) বাংলাদেশের জন্য তার অবকাঠামো এবং বাণিজ্য অংশীদারিত্ব গভীর করার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, যেমন বন্দর এবং মহাসড়কগুলিতে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেই ত্বরান্বিত করবে না, বরং এই অঞ্চলে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানকেও শক্তিশালী করবে।
২. পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
সামরিক সহযোগিতার পাশাপাশি, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ বস্ত্র ও উৎপাদন খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে পারে। যৌথ প্রতিরক্ষা উৎপাদন উদ্যোগ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর উভয়ের জন্যই উপকারী হতে পারে, যা সাশ্রয়ী সামরিক সরঞ্জাম প্রদান করবে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা শক্তিশালী করবে।
৩. তুরস্কের বিশেষজ্ঞতা কাজে লাগানো
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষত ড্রোন প্রযুক্তি এবং সাঁজোয়া যান ক্ষেত্রে। তুরস্কের সাথে যৌথ প্রতিরক্ষা উৎপাদন উদ্যোগ বাংলাদেশের নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা বিকাশ করতে সহায়তা করবে, যা বিদেশী সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করবে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা তৈরি করবে।
পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি বিশেষ করে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিকট হতে প্রয়োজনীয় সামরিক-বেসামরিক মেগা প্রকল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগে তাঁদের আগ্রহী করা।
কূটনৈতিক কৌশল: ভারতের সাথে সম্পর্ক পরিচালনা
সামরিক প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ তবে বলিষ্ঠ কূটনীতি অবশ্যই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির অগ্রভাগে থাকতে হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, পারস্পরিক সম্মান, বাণিজ্য ঘাটতি নিরোসন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর জোর দিয়ে ভারতের সাথে সংলাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, পানি বণ্টন (বিশেষত তিস্তা নদী) এবং বাণিজ্যসহ রাজনৈতিক মতবিরোধ এবং অমীমাংসিত নানা বিষয়গুলি কূটনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে প্রয়োজনে জাতিসংঘ বা তৃতীয় কোন রাষ্ট্রের সহযোগিতাও নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশের কৌশলগত স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে ভারত এবং চীনের সাথে সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাটা হবে তাৎপর্যপূর্ণ।
উপসংহার: ভারসাম্যপূর্ণ অগ্রগতির পথ
গণঅভূথ্যান বা জুলাই বিপ্লবের পরে বর্তমানে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে, বাংলাদেশকে এমন একটি পথ অনুসরণ করতে হবে যা সামরিক প্রস্তুতি এবং কূটনৈতিক অংশীদারিত্ব উভয়কেই সমানভাবে গুরুত্ব দেয়। প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা, চীন, পাকিস্তান এবং তুরস্কের সাথে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং ভারতের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমেই বাংলাদেশ আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে তার অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
বিপ্লবী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য, এই প্রচেষ্টাগুলিকে ত্বরান্বিত করা উচিত, যাতে বাংলাদেশ শুধুমাত্র সম্ভাব্য হুমকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার একটি সার্বভৌম, শান্তিপূর্ণ এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রাণবন্ত দেশ হিসেবে তার অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে।
লেখক:
কাজী রা ফিউ হোসেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক,
বাংলাহেডলাইনস ২৪ ডট কম ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী।
ইমেইল: ra_few707@yahoo.com