সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করল ওপেনএআই
মার্কিন প্রতিরক্ষা স্টার্টআপ অ্যান্ডুরিল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং এআই জায়ান্ট ওপেনএআই সামরিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে। গত ৪ ডিসেম্বর উভয় কোম্পানি এক যৌথ বিবৃতিতে এ অংশীদারিত্বের ঘোষণা দেয়।
প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দিষ্ট প্রযুক্তি:
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাউন্টার-আনম্যানড এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম (C-UAS) এবং রিয়েল-টাইম প্রাণঘাতী হামলা শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ প্রযুক্তি তৈরি করা হবে।
- মূল লক্ষ্য:
- উদীয়মান মানবহীন সিস্টেমের হুমকি মোকাবিলা।
- প্রচলিত মানুষ চালিত প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
- নতুন প্রযুক্তি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওপেনএআইয়ের নীতিমালার পরিবর্তন:
এর আগে সামরিক কাজে নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল ওপেনএআইয়ের। তবে জানুয়ারিতে এ নীতিমালা পরিবর্তন করে তারা প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয়।
- সিইও স্যাম অল্টম্যান জানিয়েছেন, নতুন প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
অ্যান্ডুরিল ইন্ডাস্ট্রিজের ভূমিকা:
- অ্যান্ডুরিল মূলত সামরিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোন, সেন্সর টাওয়ার এবং সফটওয়্যার তৈরি করে।
- এগুলো শত্রু ড্রোনের পূর্বসতর্কীকরণ এবং প্রতিরোধে কার্যকর।
- সহ-প্রতিষ্ঠাতা পালমার লাকি একজন ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থক এবং ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ।বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট:
- এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত আধিপত্য বজায় রাখার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
- এটি বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে এআই প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিযোগী উদ্যোগ:
ওপেনএআই এবং অ্যান্ডুরিল ইন্ডাস্ট্রিজের এই অংশীদারিত্ব সামরিক এআই প্রযুক্তিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটি একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, অন্যদিকে বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতায় দেশটির অবস্থান আরও সুসংহত করবে।