অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন জমা
বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ ও সুপারিশ প্রস্তাব করা হয়েছে।
শ্বেতপত্রের প্রধান আলোচ্য বিষয়সমূহ:
১. সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা:
- অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবস্থাপনা।
- সরকারি ব্যয়: সরকারি বিনিয়োগ, এডিপি, ভর্তুকি এবং ঋণ।
- বাজেট ঘাটতির অর্থায়ন।
২. মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা:
- খাদ্য উৎপাদন, সরকারি সংগ্রহ ও বণ্টন।
৩. বৈদেশিক অর্থনীতি:
- রপ্তানি, আমদানি, রেমিট্যান্স, এফডিআই।
- বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বৈদেশিক অর্থপ্রবাহ এবং ঋণ।
- অভ্যন্তরীণ বাজার:
- চাহিদা, সরবরাহ, মূল্য নির্ধারণ, খরচ এবং ক্রয় চুক্তি।
৫. ব্যক্তিগত বিনিয়োগ:
- ঋণ, বিদ্যুৎ, সংযোগ এবং লজিস্টিকস।
৬. কর্মসংস্থান:
- দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থান।
- আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মজুরি।
- যুব কর্মসংস্থান।
প্রস্তাবিত কমিটির কাঠামো:
১. কমিটির সদস্যরা অবৈতনিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
২. পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের কোনো ভবন কমিটির দপ্তর হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
৩. সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
৪. সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর/মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে।
৫. নব্বই দিনের মধ্যে কমিটি তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
এই উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বচ্ছতা ও উন্নয়নের নতুন দিক উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।