নির্বাচনে প্রার্থী হতে আর বাধা নেই খালেদা জিয়ার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টে খালাস পাওয়ায় আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজা থাকলে মুক্তির পাঁচ বছর পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান থাকলেও খালাসের মাধ্যমে এই বাধা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।
চ্যারিটেবল মামলার রায়:
- ২০১৮ সালে ঢাকার জজ আদালত খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
- হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও সৈয়দ এনায়েত হোসেন গতকাল বুধবার এই মামলায় খালেদা জিয়া এবং আরও দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম খানকে খালাস দেন।
- মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, কোনো সাক্ষী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার বা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলায় অব্যাহতি:
- গতকাল ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দেন।
- অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
- ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদক এই মামলাটি দায়ের করেছিল।
তারেক রহমানের দুই মামলায় অব্যাহতি:
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দুটি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন:
- কর ফাঁকির মামলা:
- এক-এগারো সরকারের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা কর ফাঁকির অভিযোগে ২০০৮ সালে মামলা হয়।
- ঢাকার বিশেষ জজ আদালত অভিযোগকে “কাল্পনিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত” বলে অভিহিত করেন।
- চাঁদাবাজির মামলা:
- ২০০৭ সালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটি চূড়ান্ত প্রতিবেদনে “রাজনৈতিক চাপে দায়ের” বলে উল্লেখ করা হয়।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতামত:
সংবিধান অনুযায়ী, দুই মামলায় সাজা মওকুফ ও খালাস পাওয়ার কারণে খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের আর কোনো আইনি বাধা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অন্যান্য মামলাগুলোতেও কোনো সাজার রায় হয়নি।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
- খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা মনে করেন, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।
- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এসব আইনি জয় বিএনপির রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে, বিশেষত আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে।