জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অন্যান্য আসামিদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন।
মামলার পটভূমি
- বিচারিক আদালতের রায়:
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারিক আদালত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। - আপিল:
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালেদা জিয়া হাইকোর্টে আপিল করেন। - অর্থদণ্ড স্থগিত:
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং বিচারিক আদালতের অর্থদণ্ডের আদেশ স্থগিত করেন।
হাইকোর্টের রায়
- আপিল মঞ্জুর:
হাইকোর্ট আজ খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেন। - বিচারকের পর্যবেক্ষণ:
আইনজীবী জয়নুল আবেদীনের বরাত দিয়ে জানা যায়, হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন, আপিলটি লাইন বাই লাইন পড়ে এবং এভিডেন্স যাচাই করে দেখেছেন। আদালত মনে করেছেন যে আপিলের আইনি ভিত্তি যথাযথ।
খালেদা জিয়ার মুক্তি
- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
- ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের এই রায় বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এর মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আইনি লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। এই রায় শুধু খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনে নয়, দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।