December 23, 2024
আওয়ামী লীগের জনসমক্ষে আসার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ

আওয়ামী লীগের জনসমক্ষে আসার অধিকার নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ

নভে ১০, ২০২৪

হাসনাত আবদুল্লাহ: আওয়ামী লীগ নাৎসি বাহিনীর চেয়েও নৃশংস

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক গণজমায়েতে আওয়ামী লীগকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি মন্তব্য করেছেন, “আওয়ামী লীগ নাৎসি বাহিনীর চেয়েও নৃশংস,” এবং দাবি করেছেন যে, “গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের জনসমক্ষে আসার অধিকার নেই।”

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকের সামনে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ মঞ্চের ব্যানারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এই গণজমায়েতে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ফিরবে বিচারের জন্য, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর জন্য। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।”

এদিন সমাবেশে বক্তৃতা দিতে আসা ছাত্রনেতারা ছাড়াও, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত ও নিহত ব্যক্তিদের স্বজনরা অংশ নেন। সেখানেই হাসনাত আবদুল্লাহ হুঁশিয়ারি দেন, “আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, তাদেরও প্রতিহত করা হবে।” তিনি আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের উদ্দেশে বলেন, “যারা জুলুম করেছে, তাদের প্রতি কোনো উদারতা নয়। জালেমদের উদারতা দেখিয়ে জেনেভায় গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন। দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।”

বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। এ প্রসঙ্গে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “কেবল একটা ভোটের জন্য এত শহীদ রক্ত দেননি। গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছেন রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য। আগে সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন সংস্কারেরই একটা অংশ।”

তিনি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের পরই নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন। হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “বর্তমানে মামলা নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে, ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে, কিন্তু তারা আবার দাঁড়িয়ে যাবে। ফ্যাসিবাদের প্রশ্নে আমাদের অবস্থান থাকবে অনড়।”

এছাড়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য নেতারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দুই হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে, অর্ধলাখ মানুষকে আহত করেছে। সারজিস আলম বলেন, “হাসিনা প্রতিটি হত্যার হুকুমদাতা,” এবং দাবি করেন, “বিশ্বের কাছে হাসিনার নির্মম হত্যাকাণ্ডের তথ্য পৌঁছে দিতে হবে।”

আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, “দেশের মানুষ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তারা ভেবেছিল, ঐক্যে ফাটল ধরেছে, কিন্তু হাসিনার রক্তখেকো আচরণ মানুষ ভুলে যায়নি।”

বিশ্বের সামনে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রকাশ করার জন্য সামাজিক মাধ্যম ও টেলিভিশনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করারও আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

এদিকে, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখার সভাপতি সাদিক কাইয়ুমও এই সমাবেশে সংহতি জানান এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

Leave a Reply