অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অনুমতি ছাড়া থাকা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তার সামনে কোনো বিকল্প নেই এবং তাদের বাধ্যতামূলক প্রত্যর্পণ করা হবে। তিনি দাবি করেন, অবৈধ অভিবাসীরা সমাজে অপরাধমূলক কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে দেশের ক্ষতি করছে এবং তারা এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবে না।
এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, “অভিবাসীদের প্রত্যর্পণ করতে কত খরচ হবে, তা বড় প্রশ্ন নয়। আমাদের জন্য আসল বিষয় হচ্ছে, অবৈধ অভিবাসীদের সরিয়ে ফেলতে হবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে, যা কয়েক বিলিয়ন ডলারের সমান হতে পারে।
এছাড়া, নির্বাচনের পরবর্তী দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে রিপাবলিকানদের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, মিশিগান, উইসকনসিন, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নেভাদা রাজ্যগুলো এখন রিপাবলিকানদের দখলে চলে গেছে। এই রাজ্যগুলোকে ‘লাল রাজ্য’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা ট্রাম্পের নির্বাচনী বিজয়ের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে, এর মধ্যে অ্যারিজোনার ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
একই সঙ্গে, ট্রাম্পের রিপাবলিকান দল প্রতিনিধি পরিষদে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং এটি ‘একীভূত সরকার’ গঠনের পথে রয়েছে। যদি রিপাবলিকানরা প্রতিনিধি পরিষদও দখল করে, তবে ট্রাম্পের পক্ষে তার সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
নতুন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর মধ্যে, ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা সুসি উইলসকে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে মনোনীত করেছেন। সুসি উইলস হবেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ।
এছাড়া, সম্ভাব্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা এবং পরিবেশবাদী আইনজীবী কেনেডি জুনিয়রকে সিডিসি ও এফডিএ-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংস্থার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ককেও আমলাতন্ত্র সংস্কারে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানো হলেও, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেশ কিছুদিন নীরব ছিলেন। তবে, ট্রাম্পের বিজয়ের পর পুতিন তার প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্যে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “ট্রাম্প সত্যিকারের সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, বিশেষ করে পেনসিলভানিয়াতে নির্বাচনী সমাবেশে তাঁর ওপর হামলার সময়।” পুতিন এই মন্তব্য করেছিলেন রাশিয়ার সোচি রিসোর্টের ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে।
এদিকে, বাইডেনের আমলে ডেমোক্র্যাটরা একীভূত সরকার পরিচালনা করেছিল, যা তাদের বেশ কিছু বড় আইন পাস করতে সহায়তা করেছিল। তবে, ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলও একই ধরনের একটি সরকার গঠন করতে সক্ষম হলে, তাদের জন্য আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া আরও সহজ হতে পারে।