অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না- তারেক রহমান
তারেক রহমানের সতর্কবার্তা: গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই
গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জনগণকে এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো অপশক্তিই স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে পারবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
গণতন্ত্র রক্ষায় সতর্ক থাকার আহ্বান
তারেক রহমান বলেন, “স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণকে আমি পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো সক্রিয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করতে এরা দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে—এটিই আজ দেশের মানুষের প্রধান চাওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “আজকের এই লাখো জনতার মিছিল ৭ নভেম্বরের অন্তর্নিহিত শিক্ষায় দীক্ষিত। এটি শুধু প্রতিবাদের মিছিল নয়, বরং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতার স্বার্থ রক্ষার মিছিল।”
সরাসরি ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার তাগিদ
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তারেক রহমান বলেন, “যদি সরাসরি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তবে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও সাধারণ মানুষ বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে আর কখনো যেন ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে, সেজন্য স্থানীয় সরকার থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের সরাসরি ভোটাধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।”
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অর্জন
ফ্যাসিবাদের পতনে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তারেক রহমান বলেন, “১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল শত্রু-মিত্র চেনার দিন। আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন। দেশের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে ইনশাআল্লাহ, দেশের স্বাধীনতা কোনোদিন বিপন্ন হবে না।”
মিছিলের পথ
বিকেল পৌনে ৪টায় নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া র্যালিটি কাকরাইল মোড়, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে র্যালি শেষ হয়।
এদিন লাখো জনতার অংশগ্রহণে রাজধানী ঢাকার রাজপথ পরিণত হয় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দৃপ্ত মঞ্চে।