December 22, 2024
পোশাক রপ্তানিতে ভারত ইতিবাচক ধারায় ফিরলেও পারেনি বাংলাদেশ

পোশাক রপ্তানিতে ভারত ইতিবাচক ধারায় ফিরলেও পারেনি বাংলাদেশ

নভে ৮, ২০২৪

এ বছরের প্রথম নয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কমেছে, যার ফলে অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলো, যেমন ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া, এর বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৫৪১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬ শতাংশ কম।

অপরদিকে, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং পাকিস্তান এই সময়ে নিজেদের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে, ভিয়েতনাম, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক, চলতি বছরে তাদের রপ্তানি ১ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়া যথাক্রমে ২ দশমিক ৪১ শতাংশ ও ৭ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি কমলেও, ভারতের রপ্তানি গত বছরের প্রবৃদ্ধি হারানোর পর, এবারে পুনরায় ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির দিকে যাচ্ছে। ভারত এ বছরের প্রথম নয় মাসে ৩৬৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা ০.৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের পোশাক রপ্তানি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, যদিও তারা বাজারের ২১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০২৩ সালে প্রথম নয় মাসে চীনের পোশাক রপ্তানি ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ২৫১ কোটি ডলার হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে মূল্যস্ফীতি এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব রয়েছে। ২০২2 সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এরপর যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে আমদানিকারকরা পোশাকের মতো বিলাসী পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজার শেয়ারও সংকুচিত হয়েছে।

তবে, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে ভবিষ্যতে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে যদি আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর জন্য কৌশলগত পরিবর্তন ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করা হয়।

Leave a Reply