২৩৭ মামলায় আসামি হাসিনা
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পলায়ন করলে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার ঐতিহাসিক এ গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পূর্ণ হয়। এ সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হয়। তবে শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী অনেক নেতাই বিদেশে পলাতক থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
মামলার পরিসংখ্যান
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত তিন মাসে রাজধানীতে হত্যা, গুম এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৩৪৫টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেই ২৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোট ৩৫৩ জনকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা
- শেখ হাসিনা: ২৩৭টি মামলা
- আসাদুজ্জামান খান কামাল (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী): ২২৭টি
- ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক): ১৮০টি
- আনিসুল হক (সাবেক আইনমন্ত্রী): ৬৭টি
- ড. হাছান মাহমুদ (সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী): ৬৭টি
- জাহাঙ্গীর কবির নানক (সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী): ৬০টি
- মোহাম্মদ এ আরাফাত (সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী): ৬৪টি
- সালমান এফ রহমান (শেখ হাসিনার উপদেষ্টা): ৪১টি
- জুনাইদ আহমেদ পলক (সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী): ৫৯টি
- আতিকুল ইসলাম (উত্তর সিটির সাবেক মেয়র): ৩৭টি
- ফজলে নূর তাপস (দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র): ৫৩টি
- মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (সাবেক শিক্ষামন্ত্রী): ২৯টি
- হাসানুল হক ইনু (জাসদ সভাপতি): ৩৫টি
- দীপু মনি (সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী): ২৫টি
- শেখ রেহানা (শেখ হাসিনার বোন): ২০টি
- সজীব ওয়াজেদ জয় (শেখ হাসিনার ছেলে): ২২টি
পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা
- আবদুল্লাহ আল-মামুন (সাবেক আইজি): ১২৩টি মামলা
- হারুন অর রশীদ: ১১৮টি
- বিপ্লব কুমার: ১০৮টি
- হাবিবুর রহমান: ৯৫টি
- মনিরুল ইসলাম: ৩০টি
- শহীদুল হক: ১১টি
- বেনজীর আহমেদ: ৭টি
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মামলা নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।