গণভবনকে জাদুঘরে রূপ দিতে কমিটি গঠন
বাংলাদেশের গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’-এ রূপান্তর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কিউরেটর, শিক্ষক, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. এবাদুর রহমান। শনিবার (২ নভেম্বর) গণভবনের গেটে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এই কমিটি ঘোষণা করেন।
কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আছেন লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মুসতাইন বিল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদ সবুজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. নুরুল মোমেন ভূঁইয়া, আলোকচিত্রী তানজিম ওয়াহাব, লেখক সহুল আহমেদ মুন্না এবং স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। এছাড়া, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও প্রধান স্থপতি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আরও কিছু আর্কিটেক্ট ও ডিজাইনারসহ একজন বা দুজন ছাত্র প্রতিনিধিও কমিটিতে থাকবেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরে গত ১৬ বছরে ঘটে যাওয়া নির্যাতন ও জনগণের বিজয়ের বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত থাকবে। ‘আয়না ঘর’-এর একটি রেপ্লিকা তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, এই জাদুঘর গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবেও ব্যবহৃত হবে, এবং বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার বিজয়ের প্রতীক হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম জানান, গণভবন বাংলাদেশের মানুষের দুঃখ-যাতনার জায়গায় পরিণত হয়েছিল, এবং জনগণ সেখানে প্রবেশ করে ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রতিরোধ করেছে। এই জাদুঘর শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং সারাবিশ্বের মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। নবগঠিত কমিটি চলতি সপ্তাহেই তাদের কাজ শুরু করবে।