বাইডেনের উল্টো বক্তব্য নেতানিয়াহুর, সিনওয়ারকে হত্যার পরও হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
ইসরায়েল হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পর অনেকে আশা করেছিলেন যে, এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান হবে। তবে আজ শুক্রবার সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন যে, গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন।
নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। সিনওয়ারকে হত্যাকে তিনি একটি “মাইলফলক” হিসেবে উল্লেখ করেন, কিন্তু যুদ্ধ এখানেই শেষ হবে না বলে জানান। ইরান এবং তেহরানের মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শয়তানের অক্ষকে দমিয়ে দেওয়া এবং একটি নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন মাত্রায় যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আক্রমণ চালিয়েছে। সংগঠনটি আরও বলেছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই একটি নতুন এবং বর্ধিত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ইরান, যাকে হিজবুল্লাহর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দেখা হয়, সিনওয়ারের মৃত্যুকে “প্রতিরোধযুদ্ধের প্রেরণা” হিসেবে বর্ণনা করেছে। ইরানের মতে, সিনওয়ারের মৃত্যুতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধশক্তি আরও দৃঢ় হবে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা নেতারা আশা করেছিলেন যে, সিনওয়ারের মৃত্যুর মাধ্যমে সংঘাতের অবসান হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার যুদ্ধবিরতির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার কথা বলেছেন। তবে মিলার উল্লেখ করেন, সিনওয়ার যুদ্ধবিরতির আলোচনায় রাজি ছিলেন না, ফলে তার মৃত্যুর পর পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
যদিও ইসরায়েল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা এই মুহূর্তে সফল হয়নি।
সংঘাত এখন গাজা থেকে লেবানন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই নতুন মাত্রায় রূপান্তরিত হচ্ছে।