সাভারে ঝুট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে আ.লীগ বিএনপির গোলাগুলি
ঢাকার সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট (কাপড়ের উচ্ছিষ্ট অংশ) ব্যবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় দি রোজ গার্মেন্টস লিমিটেড কারখানার সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই বিষয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
আশুলিয়া থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার দি রোজ গার্মেন্টস কারখানার ঝুট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যার ২৫টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সরকার পতনের পর থেকে তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝুট ব্যবসার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন এবং কারখানার ম্যানেজমেন্ট তাদের ব্যবসা দেওয়ার আশ্বাস দেয়। বুধবার বিকালে তারা কারখানার সামনে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করতে গেলে আওয়ামী লীগের আরিফ মাদবর, রতন, তানভীর, গালকাটা জুয়েল, হান্নান ও পারভেজসহ প্রায় ১০০-১৫০ জন ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে তারা নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন, তাই তাদের অস্ত্র হাতে রাস্তায় বের হওয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য। তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা আসলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর জন্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, অস্ত্রধারী ব্যক্তির পরিচয় স্থানীয় লোকজন অবশ্যই জানবে, কারণ তার মুখে মাস্ক থাকলেও তার দেহের গঠন দেখে চেনা সম্ভব হবে।
দি রোজ গার্মেন্টস কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, দুই মাস ধরে কিছু লোক তাদের কারখানায় এসে ঝুট ব্যবসার সুযোগ চেয়ে আসছেন। তবে আগের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাদের বেশ কিছু টাকা পাওনা রয়েছে, যার ফলে নতুন কারও সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন চুক্তি করতে গেলে তাদের পাওনা টাকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে, এ কারণে তারা নতুন কোনো চুক্তি করতে দ্বিধায় রয়েছেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা কামাল বলেন, ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।