ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ইসরায়েলের
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব দিতে দেশটিতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা তেল ও পারমাণবিক স্থাপনার পরিবর্তে ইরানের সামরিক স্থাপনায় সীমিত আক্রমণ চালাতে পারেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইসরায়েল আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইরানে হামলা চালাতে পারে। চলতি মাসের মধ্যেই এই হামলা হতে পারে। ১ অক্টোবর, ইরান প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল, যা লেবাননের হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার প্রতিশোধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানকে সতর্ক করেছেন যে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলা হবে ‘মারাত্মক, সুনির্দিষ্ট এবং চমকে দেওয়ার মতো।’
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জাতিসংঘের মহাসচিবকে বলেছেন, যদি ইসরায়েল হামলা চালায়, তাহলে তেহরান ‘কঠিন ও বেদানাদায়ক’ জবাব দিতে প্রস্তুত।
এছাড়া, বুধবার ইসরায়েলের হামলায় গাজায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলায় গাজা উপত্যকিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪২,৩৫০ জনে পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছেন ৯৯,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি। ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজার বিভিন্ন স্থানে অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।