আন্দোলনকর্মী থেকে অভিনেত্রী
হান্টার শেফার অভিনয়ে আসার আগেই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ‘দ্য পাবলিক ফ্যাসিলিটিজ প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ (এইচবি২) এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন এবং আইনি পদক্ষেপও নেন। দুই বছরের আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৮ সালে ওই বিলটি বাতিল হয়। এরপর টিভি সিরিজ ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন হরর সিনেমা ‘কুকু’ এর মাধ্যমে।
হান্টার শেফার একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী, এবং তিনি শৈশব থেকেই নিজের পরিচয় নিয়ে নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছেন। তিনি HBO এর বহুল আলোচিত সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’তে ট্রান্সজেন্ডার চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি লাভ করেন। শেফার একাধিক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে অল্প সময়েই সুনাম অর্জন করেছেন, এবং সমালোচকেরা তাঁকে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী হিসেবে মনে করছেন।
‘ইউফোরিয়া’ এর পর শেফারকে দেখা যায় ‘দ্য হান্টার গেমস: দ্য ব্যালাড অব সংবার্ডস অ্যান্ড স্নেকস’ সিনেমায়। চলতি বছর ‘কুকু’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। টিলম্যান সিঙ্গার পরিচালিত এই সিনেমার পটভূমি জার্মান আল্পস। যেখানে মা হারানো গ্রেচেন নামের একটি চরিত্রের ট্রমা এবং অতিপ্রাকৃতিক ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার গল্প। ‘কুকু’ এর প্রিমিয়ার হয় বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে এবং এটি গত আগস্টে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
অন্যদিকে, ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’ নামক ভিন্নধারার ছবিটি নির্মাণ করেছেন ইয়োর্গস লান্থিমোস। এখানে শেফার এমা স্টোন, মার্গারেট কোয়ালি, জেসি প্লেমনস, উইলেম ডাফোরের মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। কান উৎসবে পুরস্কারজয়ী এই সিনেমাটি জুন মাসে মুক্তি পায়, এবং এখানে শেফারের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে।
শেফার অভিনয়ের প্রথাগত প্রশিক্ষণ নেননি। নিউইয়র্কে মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এবং ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল। তবে ‘ইউফোরিয়া’ তার ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে দেয়। তিনি বলেন, “আমি এখন মডেলিং থেকে দূরে এসেছি। অভিনয় বেশি উপভোগ করছি এবং নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে আবিষ্কার করতে চাই।” যদিও তিনি আন্দোলনকর্মী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, তবে এখন তিনি নিজেকে একজন অভিনেত্রী হিসেবেই দেখেন।
শেফারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাতেও পরিচালনা রয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন।