সমুদ্রপথে হজে যেতে পারবে বাংলাদেশিরা, সৌদি আরবের সম্মতি
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সৌদি আরব। রোববার, সৌদি আরবের জেদ্দায় এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তটি জানানো হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়া অংশ নেন।
বৈঠকে, সমুদ্রপথে হাজযাত্রী পাঠানোর বিষয়ে ড. খালিদ হোসেনের প্রস্তাবে সৌদি মন্ত্রী জানান, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই। তবে, এ বিষয়ে বন্দরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারকেও জাহাজ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
- ক্লিকবেইট ভিডিওর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ইউটিউব
- ‘মেয়েদের গল্প’ সিনেমায় থাকছেন না বাঁধন
- নীলফামারীর ডোমারে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- বিশ্বব্যাংক-এডিবির ১.১ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা অনুমোদন
- উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
এছাড়া, হজযাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি হালনাগাদ করার প্রতিশ্রুতি দেন সৌদি মন্ত্রী। হজ এজেন্সির মালিকদের বা প্রতিনিধিদের জন্য মাল্টিপল ভিসা ইস্যু করার বিষয়ে আশ্বাসও দেন তিনি।
রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেন সৌদি মন্ত্রী।
এবছর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতি হজ এজেন্সিকে অন্তত দুই হাজার হাজি পাঠানোর কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম উপদেষ্টা ২০২৪ সালে এজেন্সিপ্রতি দুইশত পঞ্চাশ জনের কোটা পুনঃনির্ধারণের অনুরোধ জানালে সৌদি মন্ত্রী সেটি বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার হাসান আল মানাখেরা এবং মহাপরিচালক বদর আল সেলামি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ পক্ষ থেকে ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম এবং হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এভাবে, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সহযোগিতামূলক উদ্যোগ হজযাত্রীদের জন্য নতুন সুযোগের সৃষ্টি করবে এবং তাদের হজ পালনের প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।