সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন
সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই। শনিবার (৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর উত্তরা বাংলাদেশ মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৯৪ বছর বয়সে ফুসফুসের সংক্রমণজনিত কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ।
তার ছেলে মাহী বি. চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এবং সাংবাদিকদের জানিয়ে তার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রাত ৩টা ১৫ মিনিটে বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অসুস্থ অবস্থায় ২ অক্টোবর সকালে তাকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানান, বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজে ভুগছিলেন।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী ১৯৭৮ সালে বিএনপিতে যোগ দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জিয়াউর রহমান সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য।
২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে একই বছরের ১৪ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তবে ২০০২ সালের ২১ জুন তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন।
এরপর, ২০০৪ সালের ৮ মে তিনি বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।