আত্মসমর্পণের পর কারাগারে মাহমুদুর রহমান
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত “আমার দেশ” পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তিনি আত্মসমর্পণ করতে আদালতে আসেন। তার আইনজীবীরা আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন, তবে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত তাকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
গত বছরের ১৭ আগস্ট একই মামলায় মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনকে পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন— জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া। তাদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ১২০-খ ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়, যা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হবে। দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে বিএনপি ও তাদের জোটভুক্ত দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান পল্টন থানায় মামলাটি করেন এবং ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
সম্প্রতি মাহমুদুর রহমান তুরস্ক থেকে দেশে ফিরেছেন এবং সাংবাদিকদের জানান, তিনি কারাগারে থাকার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমি ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গত ১৬ বছর ধরে লড়াই করে আসছি এবং এখনো লড়াই চালিয়ে যাব।”
