আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে চাপা পড়েছে শিল্পকলার দুর্নীতি
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বরাদ্দ গত ১৫ বছরে ১০ গুণ বেড়ে চলতি অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকার বেশি হয়েছে। তবে এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের আড়ালে সোয়া দুই শ কোটি টাকার হিসাবের গরমিল, নিয়োগে অনিয়ম এবং সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ সামনে এসেছে। বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির পরিমাণও বেড়েছে।
এ বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর শিল্পকলা একাডেমির কিছু কর্মকর্তা প্রতিষ্ঠানটির ১৪ জন কর্মকর্তার কক্ষে তালা দেন, কারণ তাঁরা অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতির কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন। কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ বছরে তাঁদের পদোন্নতি এবং বেতন বৃদ্ধি হয়নি। অনেকেই সাবেক মহাপরিচালকের প্রিয়জন না হওয়ার কারণে হেনস্তার শিকার হয়েছেন।
শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর জিয়া উদ্দিন আহমেদ ১৭ বছর পর ২০২৩ সালে পদোন্নতি পেয়েছেন, কিন্তু অনেকেই এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সহকারী পরিচালক আবু সালেহ মো. আবদুল্লাহ জানান, তাঁর অফিসে তালা ঝুলছে, ফলে তিনি কাজ করতে পারছেন না।
নিয়োগে কারসাজি ও সরকারি টাকায় জন্মদিন উদ্যাপনের অভিযোগে সাবেক মহাপরিচালক লিয়াকত আলী সমালোচিত হলেও তিনি পদে বহাল ছিলেন। ২০২২ সালে এক প্রতিবেদনে ২৫ জনের অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ ওঠে, কিন্তু সেই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লিয়াকত আলী সরকারের টাকা দিয়ে নিজের জন্মদিন উদ্যাপন করার অভিযোগেও অভিযুক্ত।
সার্বিকভাবে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বর্তমানে সংকটে আছে, যেখানে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা সংস্কৃতিচর্চার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে।