বৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৩৭
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিখোঁজ মানুষদের সন্ধানে গতকাল শনিবারও উদ্ধারকর্মীরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
শুক্রবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলসহ আরও কয়েকজন হিজবুল্লাহ কমান্ডার এবং অন্তত ৩৭ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে তিনটি শিশু ও সাতজন নারীও রয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবানিজ কর্তৃপক্ষ।
ইরান–সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, এই হামলায় তাদের ১৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নেতা ইব্রাহিম আকিল ছাড়াও কমান্ডার আহমেদ ওয়াহবিও রয়েছেন। হিজবুল্লাহ প্রায় এক বছর ধরে ইসরায়েলে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যা মূলত ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন জানানোর অংশ। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল হিজবুল্লাহর অবস্থান লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে। তবে শুক্রবারের হামলাটি ছিল হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রাণঘাতী আঘাত।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতারা বৈরুতের একটি ভূগর্ভস্থ স্থানে জড়ো হয়েছিলেন এবং সফলভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, যা হিজবুল্লাহর সামরিক নেতৃত্বকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করেছে।
লেবাননের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বৈরুতের একটি জনবহুল এলাকায় একটি বহুতল ভবন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ওই ভবনের পাশে একটি শিশু নার্সারিও ছিল, যা হামলায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নার্সারির তিনটি শিশু এবং সাতজন নারী এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
হামলার পরদিন, শনিবার, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা আবার শুরু হয়। ইসরায়েলের যুদ্ধবিমানগুলো লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বোমা বর্ষণ করে, আর হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা লেবাননের ১৮০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে এবং হাজারের বেশি রকেট উৎক্ষেপণযন্ত্র ধ্বংস করেছে।