সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ায় বাম জোটের সমালোচনা
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটের নেতারা জানিয়েছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং বেসামরিক প্রশাসনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় জোটের নেতারা বলেন, সামরিক বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে বেসামরিক প্রশাসনকে দুর্বল করা হচ্ছে।
জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে এই সভায় নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘ লড়াই করেছে, কিন্তু দুর্নীতি, দুঃশাসন, দমন-পীড়ন ও লুটপাটের পরিবর্তন না হলে শুধু ব্যক্তির পরিবর্তনে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে হত্যা, কবর ভাঙা ও মাজারে হামলার মতো উচ্ছৃঙ্খল ঘটনারও তীব্র সমালোচনা করেন এবং এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ সভায় রুহিন হোসেন প্রিন্স, ইকবাল কবীর জাহিদ, মাসুদ রানা, মোশরেফা মিশু ও আবদুল আলীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে দেশের জনগণের ত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
এদিকে, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতারা সামরিক বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এ সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। দলের সমন্বয়ক মাসুদ রানা এক বিবৃতিতে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করে সামরিক বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করা বেসামরিক প্রশাসনের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ডেকে আনবে।