December 23, 2024
‘মব জাস্টিসের’ বিরুদ্ধে তিন সমন্বয়কের কঠোর অবস্থান

‘মব জাস্টিসের’ বিরুদ্ধে তিন সমন্বয়কের কঠোর অবস্থান

সেপ্টে ২০, ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ‘মব জাস্টিস’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে বিচারের বিপক্ষে নিজেদের কঠোর অবস্থান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক—নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম এবং হাসনাত আবদুল্লাহ। পৃথক ফেসবুক পোস্টে তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন।

নাহিদ ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, নির্যাতনকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, কারণ মব জাস্টিস কোনো সমাধান নয় এবং তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান তিনি, যাতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত না হয়।

সারজিস আলম, আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক, তাঁর স্ট্যাটাসে মব জাস্টিসের নিন্দা জানিয়ে বলেন, কারও মানসিক অবস্থা বা অপরাধপ্রবণতা যা-ই হোক, কাউকে পিটিয়ে হত্যা করার অধিকার কারও নেই। তিনি মব জাস্টিসের নামে নির্মমতার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেন এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ, তৃতীয় সমন্বয়ক, তাঁর ফেসবুক পোস্টে বলেন, মব জাস্টিস কোনো ন্যায়বিচার নয়, বরং এটি সহিংসতা ও অন্যায়ের পথকে আরও উন্মুক্ত করে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক ঘটনাগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে কেউ যেন পার পেয়ে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। হাসনাত আরও উল্লেখ করেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন যেমন কাম্য নয়, তেমনি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া অপরাধীদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতে হবে।

তিন সমন্বয়কই মব জাস্টিসের প্রতিরোধ এবং সঠিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হয় এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।