শেয়ার কারসাজির দায়ে সাংবাদিক হাসিব হাসানকে কোটি টাকা জরিমানা
শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে হামি ইন্ডাস্ট্রিজের (সাবেক ইমাম বাটন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম হাসিব হাসানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সিদ্ধান্ত নেয়। বিএসইসি জানিয়েছে, ইমাম বাটনের শেয়ার লেনদেনে সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে কারসাজির দায়ে এই জরিমানা করা হয়েছে।
হাসিব হাসান শেয়ারবাজারে বন্ধ থাকা ইমাম বাটনের শেয়ার কিনে এর পরিচালনায় যুক্ত হন। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে, যা বিএসইসির তদন্তে শেয়ার কারসাজির প্রমাণ হিসেবে চিহ্নিত হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসিব হাসান জানান, তিনি এখনো কোনো অফিসিয়াল চিঠি পাননি এবং কারসাজির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ইমাম বাটনের শেয়ার কিনে কোম্পানির পরিচালনায় যুক্ত হলেও কোনো কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
ইমাম বাটন চট্টগ্রামভিত্তিক ইমাম গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আর্থিক দুরবস্থার কারণে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় এবং শেয়ারবাজারে দুর্বল মানের জেড শ্রেণিভুক্ত হয়। হাসিব হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর কোম্পানির ব্যবসার ধরনে পরিবর্তন এনে মাছ চাষ ও জুতা তৈরির নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দেন। তবে ডিএসইর তদন্তে দেখা যায়, বরগুনায় মাছ চাষের পুকুরে কোনো মাছ ছিল না এবং চট্টগ্রামের জুতা তৈরির কারখানায় কার্যক্রমের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ফলে কোম্পানির দেওয়া আয় ও মুনাফার তথ্য মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত বলে উল্লেখ করা হয়।
হাসিব হাসান সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হওয়ায় মূলধারার সাংবাদিকতা থেকে দূরে সরে যান। তিনি বর্তমানে পূর্ণকালীন সাংবাদিক না হলেও শেয়ারবাজারবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।